রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন
তালতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর বেহাল দশা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার কারণে রাস্তার মধ্যে ছোট, বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। যার কারণে দুর্ভোগে পড়েন পথচারী ও স্থানীয়রা তাছাড়া প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে এসব ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায়। উপজেলার বটতলা এলাকার রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ।
স্থানীয়রা জানান, তালতলী সরকারি স্কুল ও কলেজ সংলগ্ন বটতলা এলাকায় এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী ও শত শত যানবাহন চলাচল করে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় এসব রাস্তার পিচ ও ইট উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির দিনে পানি জমাট বেঁধে থাকে এতে যানবাহন দুর্ঘটনায় কবলিত হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. রুবেল বলেন, রাস্তাটির বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় পড়ে আছে দেখার যেন কেউ নেই। তালতলী সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র তিনি জানান, স্কুলের নিকটতম এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে রাস্তাটি অনেক আগেই ব্যবহার অযোগ্য হয়ে গেছে। বৃষ্টির দিনে জমাট পানিতে যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাছাড়া সাধারণ মানুষের যাতায়াতের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
মোটরসাইকেল ড্রাইভার মো. মূসা বলেন, রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে বৃষ্টির দিনে পানি জমে থাকে। যার কারণে বোঝার উপায় নেই কোথায় কোথায় গর্ত আছে। এ কারণে মোটরসাইকেল চালাতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। দ্রুত এ রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
এনজিও কর্মী আলমগীর হোসেন বলেন, চাকরির সুবিধার্থে গত দুই বছর ধরে তালতলীতে আছি তালতলীর রাস্তাঘাটগুলো খুবই বাজে অবস্থা। বটতলার ওই রাস্তা দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই যাতায়াত করি। রাস্তাটির মধ্যে ছোট বড় গর্ত হয়ে গেছে আমার সামনে কয়েকবার অটোরিকশা ও মিশুক গাড়িতে থাকা যাত্রীসহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
মিশুক চালক আব্দুর রহিম বলেন, এই রাস্তা দিয়ে যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার সময় খুবই টেনশনে থাকি রাস্তাটির মধ্যে ছোট বড় গর্ত হয়ে গেছে। তারপরও ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাতে হয়।
স্কুল শিক্ষক জিয়াউল হক রুবেল বলেন, তালতলী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বটতলা। তালতলী সরকারি স্কুল এর পার্শ্ববর্তী রাস্তাটিতে প্রতিদিন দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছেন পথচারী ও যাত্রীরা। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, রাস্তা নয় যেন মরণফাঁদ।
কয়েকজন পথচারীরা বলেন, বৃষ্টির দিনে এই রাস্তাটিতে পানিতে ডুবে থাকে। দেখলে মনে হয় ছোটখাটো একটি পুকুর। আমরা পুকুর চাইনা রাস্তা চাই। দ্রুত এ রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানাই।
তালতলী এলজিইডি প্রকৌশলী আহম্মদ আলী বলেন, রাস্তার কাজের জন্য আমরা স্টিমিট তৈরি করে পাঠিয়েছি। প্রায় ২৪ কোটি টাকার কাজ হবে। কাজের অনুমোদন পেলেই সাথে সাথে কাজ শুরু হবে তবে একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
Leave a Reply